ওডেস্কে অনেক ধরনের কাজ আছে। যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। একটা কাজ ক্লায়েন্ট হয়তো ফিক্স প্রাইস এ দিতে পারে বা আওয়ারলি।
তাই ওডেস্কে যে কোন কাজ ই এই ২ রকম ভাবে করা যায়।
১- আওয়ারলি
২- ফিক্স
চলুন এবার জানা যাক এদের ব্যাপারে।
ফিক্স প্রাইসঃ
কাজের মল্য নির্দিষ্ট করা থাকে। যেমন একটা ডিজাইনের পুরা কাজ টির মল্য ১০০ ডলার। তো আপনি এই কাজ টি করার পর টাকাটা পাবেন।
আওয়ারলিঃ
এই কাজ আপনি ঘন্টা হিসেবে করবেন। অর্থাৎ প্রতি ঘন্টা কাজ করার জন্য একটা মুল্য আপনি ক্লায়েন্ট এর সাথে ঠিক করে নেবেন। যেমন $5/hr.
এক্স পেরিএন্স কনট্রাক্টর রা আওয়ার লি কাজ ই বেশি করে থাকে।
নতুন অবস্থায় কি করা উচিত?
ফিক্স। এবং অল্প টাকার কাজ। ৫ বা ১০ ডলার। করে আগে হাত পাকান। (ছক্কা পরে মারবেন না হয় :)
আওয়ারলি জব যেভাবে করবেন
তো আপনি চুক্তি করলেন। এবার কাজ শুরু করার আগে ওডেস্ক টিম আপ্পলিকেশন টা ডাউনলোড করে নিতে হবে। এর পর আপনি এই আপ্পলিকেশন তি অন করে রেখে কাজ করতে থাকবেন। তাহলে আপনার কাজ টি রেকর্ড হতে থাকবে। (ভিডিও রেকর্ডিং না) তবে অনেক কিছু যেমন আপনি কয়বার কি বোর্ড এ stroke করেছেন, কয়বার মাউস এ ক্লিক করেছেন, আপনি কোন ওয়েব সাইট এ ব্রাউস করছেন ইত্যাদি। প্রতি ঘন্টায় আপনার স্ক্রিন এর ৬ টা ছবি নেয় এই এপ্লিকেশন টি।
* ওডেস্ক টিম সফটওয়্যার এর ডাউনলোড লিঙ্ক
ওডেস্ক পেমেন্ট এর গেরান্টি দেয় এই আওয়ার লি কাজের জন্য যদি কাজের একটা নির্দিষ্ট মান ঠিক রেখে কাজ করা হয়।
আওয়ার লি জবের সুবিধা সমূহ
ওডেস্ক থেকে পেমেন্ট এর গ্যারান্টি দেয়া হয়ে থাকে (WOW)
টাইম ট্র্যাক আর বিলিং অনেক সোজা – কারন এটা অটোম্যাটিক
*মানে ক্লায়েন্ট এর কাছে পেমেন্ট চাইতে হবে না। ওডেস্ক টিম অন করে কাজ করবেন আর সোজা পেমেন্ট আপনার প্রফাইল এ যোগ হয়ে যাবে।
উইক লি পেমেন্ট আওয়ারস যোগ হবে প্রফাইল এ। আপনাকে হারায় করার মানে হলো আপনাকে পেমেন্ট দেয়ার যোগ্যতা ক্লায়েন্ট এর আছে (Payment method verified). তার মেথড ভেরিফাইড না থাকলে আপনাকে হায়ার করতে পারবে না।
বিশেষ ভাবে মনে রাখতে হবে, আওয়ার লি কাজে একটা উইক লি লিমিট থাকে। যেমন সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা বা সপ্তাহে ৩০ ঘন্টা। এটা ক্লায়েন্ট কাজ অনুজায়ি নির্দিষ্ট করে দেবে। যদি ২০ ঘন্টা হয় আপনি ওই ২০ ঘন্টার অতিরিক্ত ঘণ্টা কাজ করবেন না। কারন করলে তার পেমেন্ট নাও পেতে পারেন। তবে যদি মনে করেন কাজের সুবিধার জন্য আরো বেশি করা উচিত তখন ক্লায়েন্ট এর সাথে কথা বলে নিন। সে রাজি হলে আপনি বাড়তি কাজ মেনুয়ালি এড করে দিতে পারেন।
*মেনুয়াল টাইম এড করা
My job> work diary তে জান। ডান পাশে একটা হলুদ বাটন আছে “ +Add Manual Time” .
* আপনি ক্লায়েন্ট কে বলে আওয়ার বাড়াতে পারেন যদি কাজের জন্য দরকার হয়।
* ২০ ঘন্টা প্রতি সপ্তাহে কাজ। আপনি কাজ করার সময় শেষের দিকে (যেমন ১৭/১৮ ঘন্টা করে ছেন) নোটিশ পাবেন যে আপনার লিমিট প্রায় শেষ।
*আপনি চাইলে মেনুয়ালি এড করতে পারেন আওয়ার।
* আপনি আপনার লিমিটের বেশি করলে ওভারটাইম হিসেবে জোগ হবে। কিন্তু এটার পেমেন্ট অটো যোগ হবে না। ক্লায়েন্ট এর সাথে আগে কথা বলে নিন।
ফিক্স প্রাইস কাজের সুবিধা
টাইম ট্র্যাক অন করে কাজ করতে হয় না। অফ লাইন থেকে কাজ করা যায়। মানে আমি কি করতেছি ক্লায়েন্ট জানবে না। যে কাজ সাবমিট করবো, সেটাই সে পাবে। অন্য কে দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়া যায়, যদি আমার বেস্ততা থাকে।
*অনেক কনট্রাক্টর ফিক্স এ কাজ করে বেশি, কারন এতে ইনকাম বেশি হয়।
ফিক্স প্রাইস এর অসুবিধা
প্রধান অসুবিধা হলো – এর কোন গেরান্টি নেই। ক্লায়েন্ট টাকা দিলে পাবো না দিলে পাবো না। এর কারনে প্রায় ই দেখা যায় অসাবধানতে টাকা মার যায়। প্রায় সময় দেখা যায় ক্লায়েন্ট চায় আগে কাজ পরে টাকা। তাই বিশ্বাস করে কাজ করতে হয়।
কোন আওয়ারস আপনার ওডেস্ক প্রফাইল এ যোগ হবে না। অনেক সময় “Payment method not verified”- ক্লায়েন্ট ও এখানে হায়ার করে যদিও সে পেমেন্ট দেয়ার যোগ্যতা রাখে না। অনেকে না বুঝে আপ্পাই করে, কন্ট্রাক্ট নিয়ে কাজ করে – কিন্তু পরিশেষে কাজের পেমেন্ট পায় না।
*কোন কারনে পেমেন্ট না পেলে সাপোর্ট এ কথা বলুন ঃ https://www.odesk.com/support.php
ফিক্স এর ক্ষেত্রে করনিয়ঃ
আপফ্রন্ট (advance) নিয়ে কাজ করা। ( যদিও আপনি নতুন হলে এডভান্স বা আপ ফ্রন্ট চাইলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। ) কিন্তু আপনি নতুন আর ক্লায়েন্ট ও নতুন তখন ও আপফ্রন্ট চান।
অথবা এমন কোন ক্লায়েন্ট জার সাথে আগে কাজ করেননি, তার কাছেও চাইতে পারেন। আর মাইল স্টোন নিয়ে নিয়ে কাজ করা। যেমন ১০০ ডলার এর কাজ। আপনি চুক্তি করুন আপফ্রন্ট ও মাইল স্টোন পেমেন্ট এর। এবার কাজের আগে আপনি ২৫% আপফ্রন্ট নিলেন – যা হল ২৫ ডলার। এবার কাজ নিয়ে করুন এবং ২৫ ডলার পরিমান কাজ করে সাবমিট করুন আবার মাইল স্টোন চান। ২৫ ডলার নিন এবং কাজ করুন। এভাবে চলতে থাকবে। অনেক আপফ্রন্ট না নিয়ে ও মাইল স্টোন হিসেবে কাজ করতে পারেন। চাইতে দয়া করে লজ্জা বোধ করবেন না। কারন হয়ত ক্লায়েন্ট খুব বিজি তাই তার মনে নাও থাকতে পারে যে আপনাকে পেমেন্ট দিতে হবে। (আর জানেন তো, টাকা দিয়ে মানুশের কষ্ট হয় :) )
এসব না নিয়েও কাজ করা যায়। এক্ষেত্রে দেখে নেবেন ক্লায়েন্ট এর - ফিডব্যাক কেমন- কত স্পেন্ট করেছে ( কত খরচ করেছে ওডেস্কে)- কোণ দেশের ( ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, ইত্যাদি দেশের মানুধ ঝামেলা করে)
প্রথম কাজের সময় কিছুটা কমিয়ে করতে পারেন। ১০ এর টা ৫ বা ৭ ইত্তাদি। যখন ফিডবেক তইরি হবে, তখন কাজ বুঝে এপ্পলাই করবেন। অনেক সময় খুব কম টাকা দিয়ে ক্লায়েন্ট কাজ করাতে চায়। ৫ ডলার দিয়া গরর মত ২ মাস খাটাবে। তাই খুব ভালো ভাবে বুঝে - আর না বুঝলে ক্লায়েন্ট কে জিজ্ঞাসা করে কাজ নিতে হবে।
আপনি ফিক্স প্রাইস এ কাজ করছেন। মাঝপথে মনে হলো এটা আওয়ার লি হলে ক্লায়েন্ট এর সুবিধা হবে ( আর আপনার ও সুবিধা হবে ) তখন ক্লায়েন্ট কে বোঝাতে পারেন কাজ টা আওয়ার লি হলে কেন তার সুবিধা হবে। যেমন - সে আপনার কাজ দেখতে পারবে, (ওয়ার্ক ডায়েরি থেকে) , খরচ বাচবে, ইত্যাদি।
সে রাজি হলে তাকে হেল্প করতে পারেন যদি নতুন ক্লায়েন্ট হয়ে । এই লিঙ্ক টা দিন – কিভাবে ফিক্স কাজ কে আওয়ার লি করা যায় ঃ https://kb.odesk.com/questions/160/ I+hired+a+contractor+to+a+fixed-price+job.+How+can+I+change+it+to+hourly%3F
এবং রিহায়ার করার জন্য ঃ https://kb.odesk.com/questions/692/Can+I+change+the+rate+on+my+fixed-price+contract%3F
আওয়ার লি কাজ কে কি ফিক্স করা যায়?
না। সেক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট কে কন্ট্রাক্ট এন্ড করতে হবে।(আপনি নিজেও কোন কারনে চাইলে কন্ট্রাক্ট এন্ড করতে পারেন) আর আপনাকে আবার রি হায়ার করতে হবে।
Previous Article

ion titanium hair color | Titanium Art | TITNIA TITNIA TITNIA
TITNIA TITNIA TITNIA LETHAL PICKED titanium vs stainless steel apple watch POKER: A titanium connecting rod unique matte gold-plated stem that is a light-shifting, natural matte white for titanium cup use titanium trim as seen on tv with the beard growth titanium sunglasses
March 5, 2022 at 9:04 AM
Post a Comment